বিগত ৯ বছরে উপজেলা শিক্ষা অফিস আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা এর গুরুত্বপুনর্ আথর্সামাজিক উন্নয়নের সামগ্রিক চিত্র ও আগামী ৫ বছরের সম্ভাব্য উন্নয়নের পরিকল্পনা প্রনয়ন।
ভুমিকাঃ
জাতীয় উন্নয়নে দক্ষ মানব সম্পদের বিকল্প নেই। আর দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টির পথম শর্তই হলো প্রাথমিক শিক্ষা। বলা হয়ে থাকে সকল শিক্ষার ভিত্তি হলো প্রাথমিক শিক্ষা। আধুনিক বিশ্বের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে গতিশীল ও সম্প্রাসারিত করার মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে বাঙালী জাতিকে একটি উন্নত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ নিয়ে বর্তমান সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (Millenium Development Goals)এবং সবার জন্য শিক্ষা (Education for All) এর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বাংলাদেশ ইতোমধ্যে তার টার্গেট পূরণ করেছে অর্থাৎ সবার জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যমাত্রা প্রাথমিকে শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি-৩ এর প্রধান উদ্দেশ্য To Provide quality Education
জাতির জনকের কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে প্রাথমিক শিক্ষাকে একটি নিদৃষ্ট মানে ও উচ্চতায় আসিন করার জন্য হাজারো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন যা ইতিহাসের মাইলফলক হিসাবে দেশ বিদেশে প্রসংশিত হয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রাথমিক শিক্ষার বিগত ৯ বছরে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও আগামী ৫ বছরের সম্ভাব্য উন্নয়ন পরিকল্পনা মহোদয়ের জ্ঞাতার্থে উপস্থাপন করা হলোঃ
ক্রমিক নং |
উন্নয়নের ক্ষেত্র |
২০০৯ সাল থকে ২০১৭ সাল পযর্ন্ত গুরুত্বপুর্ণ আথর্সামাজিক উন্নয়নের সামগ্রিক চিত্র |
আগামী ৫ বছরে সম্ভাব্য উন্নয়ন পরিকল্পনা |
মন্তব্য |
---|---|---|---|---|
১ |
বিদ্যালয় জাতীয় করন |
০১.০৭.১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক সাথে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছিলেন। ১৯৭৩ থেকে ২০১৩ মাঝে কেটে গেছে তিনটি যুগেরও বেশি সময়। প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারী করণ হয়নি। অবশেষে জাতীর জনকের সুযোগ্য কন্যা দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আবারও এক ঐতিহাসিক ঘোষনার মধ্য দিয়ে দেশের ২৬১৯৩ টি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করলেন। ইতিহাসের সাক্ষী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেন ফলে সুবিধা বঞ্চিত ১লক্ষ ৪হাজার শিক্ষক এখন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাদের দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষিত স্বপ্নের দাবী এখন শুধু স্বপ্ন নয় বাস্তব। আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৪৯টি বিদ্যালয় জাতীয়করন করা হয়েছে। |
নতুন শিক্ষক নিয়োগ কাযর্ক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। |
|
২ |
বই উৎসব |
মার্চ কিংবা এপ্রিল নয় শুক্র কিংবা শনি নয় দেশের সকল শিক্ষার্থী বই পাচ্ছে বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১লা জানুয়ারী। সেই দিন জাতি পালন করছে বই উৎসব। নুতন বইয়ের ঘ্রাণ নিয়ে দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থী বাড়ি ফিরছে। এটি সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যার সুযোগ্য নেতৃত্বে। সারা বিশ্ব তাকিয়ে দেখছে বাংলাদেশের বই উৎসব। চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলায় 52 হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রতি বছর বছরের প্রথম দিন বই পৌছে দেয়া হচ্ছে। আলমডাঙ্গা উপজেলায় 2017 সালে 2,35,000 বই বিতরন করা হয়েছে। প্রতিবছর এই সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। |
বইয়ের কাগজ উন্নত করতে হবে। |
|
৩ |
অবকাঠামো উন্নয়নঃ
|
বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন PEDP-3 কর্মসূচির একটি প্রধান লক্ষ্য। যেখানে নতুন বিল্ডিং প্রয়োজন সেখানে নতুন বিল্ডিং নির্মাণ, বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামত প্রয়োজন হলে ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য বরাদ্দ প্রদান এবং নতুন শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করে বর্তমান সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়সমুহকে একটি শক্ত অবকাঠামোর উপর দাঁড় করিয়েছেন। আলমডাঙ্গা উপজেলায় বিগত ৭ বছরে ২০টি নতুন বিল্ডিং 100-টি অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ, 45 টি ক্ষুদ্র মেরামত কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া তাই এই ধারা বর্তমানে অব্যহত রয়েছে। |
বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। |
|
৪ |
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের নতুন পদ সৃষ্টি |
প্রতিটি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকে পদবৃদ্ধি করা হয়েছে। 2009 সাল থেকে অত্র উপজেলায় 153 টি সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টি ও শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।এছাড়া পুল প্যানেল থেকে অত্র উপজেলায় 146 জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। |
শিক্ষক ছাত্র অনুপাত 1:25 করতে হবে। |
|
৫ |
প্রাক প্রাথমিক শিক্ষিক নিযোগ |
প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক শ্রেণি চালু করা ও উপকরন ক্রয়করা হয়েছে।
|
আলাদা শ্রেণি কক্ষ নির্মান করতে। |
|
৬ |
৬-১০ বছরের শিশু ভর্তির হার বৃদ্ধি। |
দেশের সকল শিশু যেন লেখাপড়ার সুযোগ পায় তার জন্য ডিসেম্বরের শেষে ক্যাচমেন্ট জরিপ সম্পন্ন করা হয়। জানুয়ারী থেকে প্রাক ও প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি চালু হয়। জরিপকৃত শিশুদরে মধ্যে কেউ যেন স্কুলে ভর্তির বাইরে না থাকে অর্থাৎ ১০০% ভর্তি নিশ্চিত করা হয়। বর্তমানে শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত হলেও তাদেকে ক্লাস ৫ম পর্যন্ত ধরে রাখা বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা দিয়েছে। উপবৃত্তি সত নানা রকমের প্রনোদনা দেওয়ার পরও আমাদের দেশে বর্তমানে প্রাথমিকে ঝরে পাড়ার হার ২০.৪ ভাগ। ঝরে পড়া রোধে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে সচেতন হতে হবে। |
সকল শিশুদের দুপুরের খাওয়ার ব্যবস্থা করতে। |
|
৭ |
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশেুদের মা/ অভিবাবকদের উপবৃত্তি প্রদান |
দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন বিদ্যালয়ে আসে এবং লেখাপড়া করে। লেখাপড়া করতে গিয়ে কোনো ধরণের আর্থিক সংকটের মধ্যে না পড়ে বতৃমান সরকার সে বিষয়ে খেয়াল রেখে একটি যুগান্তকারী ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৪৫% কিংবা ৫০% নয় দেশের সকল প্রাথমিক শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাবে। সরকারের রাজস্ব থেকে দেওয়া হবে এই টাকা। সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা পৌরসভার চাহিদা ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা পৌরসভার সকল শিক্ষার্থী এই সুবিধা পাবে। আশা করা হচ্ছে বিদ্যালয়ে শিশুদের হাজিরা বাড়বে এবং ঝরে পড়া রোধে বিশেষ ভুমিকা রাখবে। 15,600 শিক্ষার্থীদের 47,00,000 টাকা বিতরন করা হয় প্রতি 3 মাস অন্তর অন্তর।
|
অব্যাহত রাখতে হবে। |
|
৮ |
মোবাইল ব্যাংকিং (শিওর ক্যাশ) এর মাধ্যমে উপবুত্তি প্রদানের ব্যবস্থা |
রুপালী ব্যাংকের শিওর ক্যাশের মাধ্যমে সরাসরি মাদের হাতে খুব সহজে টাকা পৌছানো সম্ভব হচ্ছে। বিগত বছর টাকা বিতরণ এত সহজ ছিল না। |
অব্যাহত রাখতে হবে। |
|
৯ |
১৫০০ বিদ্যালয় স্থাপনঃবিদ্যালয় বিহীন গ্রামে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন |
দেশের যে গ্রামে বিদ্যালয় নেই সেই গ্রামে বিদ্যালয় স্থাপন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে বিদ্যালয় বিহীন গ্রামে ১৫০০ বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলায় 3টি বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। |
অব্যাহত রাখতে হবে। |
|
১১ |
দপ্তরী নিয়োগ |
শিক্ষকদের শুধুমাত্র পাঠদান কার্যে নিয়োজিত রাখার জন্য এবং একটি বিদ্যালয় সুষ্ঠভাবে তার সমস্ত কাজ সম্পন্ন করতে পারে তার জন্য বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন করে দপ্তরী নিয়োগ দিয়েছে। তারা দিনে বিদ্যালয়ে কাজ করার পাশাপাশি রাত্রে বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিধান করবে। কালের বিচারে এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।অত্র উপজেলায় 55টি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাকী 29টি নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান।
|
সকল বিদ্যালয়ে নিয়োগ দিতে হবে। |
|
১২ |
ওয়াশ ব্লক নির্মান |
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে উন্নত স্যানেটেশন সেবা পায় তার জন্য বর্তমান সরকার ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য আলাদা Wash Block নির্মাণ করেছে। একটি Wash Block এ স্যানিটেশনের যাবতীয় সুবিধা আছে। এর অংশ হিসাবে চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৬৩টি Wash Block নির্মিত হয়েছে। বাকী বিদ্যালয়গুলোতে নির্মাণ কাজ অব্যহত রয়েছে। এছাড়া পুরাতন টয়লেটসমুহ মেরামতের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হচ্ছে প্রতি বছর। প্রয়োজনীয় সংখ্যক নলকূপ স্থাপন করে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সুপেও পানির ব্যবস্থা করছে বর্তমান সরকার।
|
অব্যাহত রাখতে হবে। |
|
১৩ |
মাতৃত্ব ছুটি ৬মাসঃ |
বর্তমান সরকার মাতৃত্ব ছুটি ৪ মাসের স্থলে ৬মাস করেছেন এবং প্রতিমাসে বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
|
অব্যাহত রাখতে হবে। |
|
১৪ |
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্ণামেন্ট চালুঃ
|
ক্রীড়া দেয় সুস্থ্য দেহ, সুন্দন মন। শিশুরা নিয়মিত লেখাপড়ার পাশাপাশি Extra Curriculum Activities এ নিয়মিত অংশগ্রহণ করতে পারে তার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে শুরু করা হয়েছে ছেলেদের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্ণামেন্ট ও মেয়েদের জন্য বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্ণামেন্ট। দেশের ৬৮ হাজার টিম এই টুর্ণামেন্টে অংশগ্রহন করে। আলমডাঙ্গা উপজেলা বিগত ২বার জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেছে। এতে করে এই অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের প্রবনতা সৃষ্টি হয়েছে যা একটি সূস্থ্য জাতি গঠনের অপরিহার্য উপাদান।
|
অব্যাহত রাখতে হবে। |
|
১৫ |
মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম চালুঃ
|
প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উন্নত দেশের আদলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শ্রেণি পাঠদান করার লক্ষ্যে সারাদেশে পর্যাক্রমে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোতে কম্পিউটার, মাল্টিমিডিয়া প্রদান করা হয়েছে। আলমডাঙ্গা উপজেলায় এ পর্যন্ত ১১টি বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ প্রদান করা হয়েছে। 40টি বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টোর দেওয়া হয়েছে। সেগুলো ব্যবহার করে বিদ্যালয়গুলোতে ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। উপজেলার ১১টি বিদ্যালয়ে মডেমের মাধ্যমে ইন্টারনেট কানেকশন দেওয়া হয়েছে।
|
অব্যাহত রাখতে হবে। |
|
১৬ |
বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা (SLIP) চালুঃ
|
দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ে সুষম উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে বর্তমান সরকার স্থানীয় ও সরকারী অর্থায়নের সমষ্টিতে স্লিপ ফান্ড সৃষ্টি করেছে। এ লক্ষ্যে ২০১7 সালে অত্র উপজেলায় ১36 টি স্কুলে ৪০,০০০ টাকা করে মোট 5 কোটি 44 লক্ষ্ টাকা প্রদান করা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের উপকরণ ক্রয়সহ পাঠদান সম্পর্কিত বিভিন্ন খাতে এই অর্থ খরচ করা যাবে। |
অব্যাহত রাখতে হবে। |
|
১৭ |
৬ষ্ঠ শ্রেণি চালুঃ
|
২০১০ সালে প্রনিত জাতীয় শিক্ষা নীতি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি উপজেলায় কমপক্ষে একটি করে স্কুলে ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণি চালু করেছে। পাইলোটিং হওয়া এই কার্যক্রমে সাফল্যও এসেছে। অত্র উপজেলায় বন্ডবিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই প্রোগ্রাম চালু হয়েছে।
|
অব্যাহত রাখতে হবে। |
|
১৮ |
প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা চালুঃ
|
একই কারিকুলামে প্রাথমিক লেখাপড়া শেষ করে সরকার আয়োজন করেছে ৫ম শ্রেণিতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। দেশের সকল শিক্ষার্থী একই সময়ে সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার মধ্য দিয়ে লেখাপড়ার প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের দেশ জনবহুল হওয়ার কারেণ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বিশ্বের সব চেয়ে বড় পাবলিক পরীক্ষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই সমাপনী পরীক্ষা নম্বরের ভিত্তিতে দেওয়া হচ্ছে ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ কোটায় বৃত্তি। এবছর আলমডাঙ্গা উপজেলায় 55 জন শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুল ও ১20 জন সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়েছে।
|
অব্যাহত রাখতে হবে। |
|
১৯ |
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এখন ২য় শ্রেণির পদমার্যাদায়ঃ
|
প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য তাদেরকে সম্মানের সহিত সমাজে বেঁচে থাকার জন্য এবং সম্মানিত ব্যক্তি হিসাবে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের মনোবল বৃদ্ধির জন্য বর্তমান সরকার ৩য় শ্রেণির প্রধান শিক্ষককে ২য় শ্রেণির মর্যাদা প্রদান করেছেন এবং মর্যাদার পাশাপাশি তাদের বেতনক্রম একটি সম্মানজনক স্থানে প্রতিষ্ঠিত করেছেন যাতে প্রধান শিক্ষকগণ তাদের মেধা, প্রজ্ঞা এবং দক্ষতা বিনিময় করে দেশের প্রাথমিক শিক্ষাকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে সচেষ্ট হন।
|
অব্যাহত রাখতে হবে। |
|
২০ |
আন্তঃ প্রাথমিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চালুঃ
|
শুধুমাত্র ফুটবল নং অন্যান্য উনডোর ও আউটডোর ক্রীড়াতে যাতে প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা নিয়মিত অংশগ্রহণ করতে পারে তার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে আন্তঃ প্রাথমিক ক্রীড়াও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতা বিদ্যালয পর্যায় থেকে শুরু কররে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শেষ হয়। প্রাথমিকের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা দেশের নির্বাহীর কাছ থেকে তাদের কৃতিত্বের স্বীকৃত পান। এটি বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম সাফল্য। এক্ষেত্রে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা ২০১৬ সালে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এছাড়া জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে এই জেলার কিছু কৃতি শিক্ষার্থী আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহন করেছেন। |
অব্যাহত রাখতে হবে। |
|
২১ |
ছাত্র-পরিষদ বা Student Council গঠনঃ
|
প্রাথমিক পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে নেতৃত্বের বিকাশ সাধন, পরমত সহিষ্ণতা ও নেতৃত্বের গুনাবলী সৃষ্টির লক্ষে বর্তমান সরকার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি তৈরি করার ব্যবস্থা সম্বলিত Student Council গঠন করেছে। Student Council এ ৭ জন নেতার মধ্যে বিভিন্ন দপ্তর বন্টন করা হয়ে থাকে। প্রাথমিক শিক্ষায় এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। |
অব্যাহত রাখতে হবে। |
|
২২ |
শিক্ষক প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি করণঃ |
প্রাথমিক শিক্ষাই বর্তমান সরকারের আর একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। বর্তমানে ১ বছরের সার্টিফিকেট ইন ইডুকেশন (C-in-Ed) পরিবর্তে ১৮ মাসের ডিপ্লোমা ইন ইডুকেশন (DPEd) প্রশিক্ষণ চালু করেছে। এছাড়া বিষয় ভিত্তিক ECL(Each child learn), TSN( Teacher Support Network), Inclusive Education, Leadership Training সহ ৪৪ প্রকারের ট্রেনিং কার্যক্রম দেশের প্রতিটি URC ( Upazila Resource Center) এ পরিচালিত হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে এই প্রশিক্ষণ বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
|
অব্যাহত রাখতে হবে। |
|
২৩ |
বিশেয় চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সহায়ক উপকরন বিতরন |
হুইল চেয়ার ও চশমা বিতরন । 2009 সাল থেকে অত্র উপজেলায় 60টি হুইল চেয়ার বিতরন করা হয়েছে। |
অব্যাহত রাখতে হবে। |
|
২৪ |
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন |
সবর্সাধরন এর আপত্তি অখিযোগ প্রাপ্তির জন্য গোপনীয় অভিযোগ বক্স স্থাপন করা হয়েছে। |
অব্যাহত রাখতে হবে। |
|