Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

আমাদের অর্জনসমূহ

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ এর বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম(২০০৯- ২০১৭)

 

চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলাটি সবদিক দিয়ে একটি সমৃদ্ধশালী উপজেলা। এখানে ৮৪ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সম্প্রতি সরকার ঘোষিত ৪৯ টি জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ০১ টি কমিউনিটি ও একটি শিশু কল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়, ০৩ টি চালুর অনুমতিপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৫০০ বিদ্যালয় বিহীন গ্রামে বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে। এখানে মোট ১৫ টি ইউনিয়ন ও ০১ টি পৌরসভা আছে। পৌরসভা ব্যতিত ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০০% দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদান করা হয়।

এই বিভাগের ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যমত্ম উলেস্নখযোগ্য কার্যক্রমঃ

১। বই বিতরণঃ প্রতি বছর অত্র উপজেলায় প্রায় ৪০,০০০ এর অধিক শিক্ষার্থীদের মাঝে ১লা জানুয়ারীর মধ্যে ১,৮৩,০০০ বই বিতরণ করা হচ্ছে, এছড়া প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির বই ও উপকরন বিতরন করা হচ্ছে।

২। উপবৃত্তিঃ প্রতি বছর সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে প্রতি ৩ মাস অমত্মর বিতরণ করা হয়।

৩। বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণঃ ২০০৯-১০, থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে        টি নতুন ভবন,      ------ টি বিদ্যালয়ে  টি নতুন শ্রেণিকক্ষ সম্প্রসারণ, ------ টি বিদ্যালয় মেরামত ও সংস্কার কাজ হয়েছে। অত্র উপজেলায় ৩টি আধুনিক মানের গেট সহ বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান সম্পন্ন ও ১০টি বিদ্যালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে।

৪। ওয়াসবস্নকঃ ২০০৯-১০, থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে    টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্যানিটেশন উন্নয়নে ওয়াসবস্নকের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এবং          টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে।

৫। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগঃ নতুন পদ সৃষ্টি করে বিগত  ৭      বছরে অত্র উপজেলায় ৮৪      জন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

৬। শূণ্য পদে নতুন শিক্ষক নিয়োগঃ বিগত ০৯ বছরে     জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ও জাতীয়করনকৃত ৪৯টি বিদ্যালয়ে ৪৯জন সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।

৭। পুল শিক্ষক নিয়োগঃ মাতৃত্বকালীন ছুটি, মেডিকেল ছুটি, পিটিআই জনিত কারণে শিক্ষক স্বল্পতার জন্য পুল শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যমত্ম       ৪০  জন শিক্ষক স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

৮। দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগঃ প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগের অংশ হিসাবে ৫৫ জন কে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। বাকী ২৯ টি নিয়োগের কার্যক্রম চলমান।

৯। হুইল চেয়ার বিতরণঃ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের মাঝে মাননীয় হুইপ মহোদয়ের মাধ্যমে বিগত ৪ বছরে ৩১টি হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়েছে।

১০। শিশু ভর্তি ও ঝরে পড়া রোধঃ অত্র উপজেলায় ৬+ থেকে ১০+ পর্যমত্ম সকল শিশুর ভর্তি নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ঝরে পড়ার হার উলেস্নখযোগ্য ভাবে হ্রাস হয়েছে।

১১। ল্যাপটপ বিতরণঃ অত্র উপজেলায় ১১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ প্রদান করা হয়েছে এবং ইন্টারনেট সুবিধা সহ মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে ডিজিটাল কন্টেন্ট প্রস্ত্তত পূর্বক পাঠদান অব্যহত আছে।

১২। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাঃ সারা দেশে প্রায় ৩০ লক্ষ ছাত্র ছাত্রী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায় প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত হয়েছে। সমাপনী পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংবর্ধনা প্রদান করা হয় যাতে শিক্ষার্থীরা উৎসাহিত হয়।

১৩। আমত্মঃ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি প্রতিযোগিতাঃ প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমত্মঃ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয় পর্যায় শুরম্ন হয়ে জাতীয় পর্যায়ে শেষ হয়। অত্র উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়েছে।

১৪। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্ণামেন্টঃ প্রতিবছর বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত টুর্ণামেন্টে আলমডাঙ্গা উপজেলা বিভাগীয় পর্যায়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে।এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেও সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ এবং তৃণমুল পর্যায় থেকে ভালো খেলোয়াড় তৈরী হয়।

১৫। প্রশিক্ষণঃ দক্ষ শিক্ষক গড়ে তোলার লক্ষক্ষ্য প্রত্যেক শিক্ষককে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় উপজেলা রিসোর্স সেন্টার এর মাধ্যমে। এছাড়া শিক্ষকদেরকে সাব ক্লাস্টার প্রশিক্ষণ, মার্কার, লীডারশীপ, প্রাক প্রাথমিক ও আইসিটি প্রশিক্ষন দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলমান আছে।

১৬। বেতন ও পদ মর্যাদা বৃদ্ধিঃ ২০১৪ সালে প্রধান শিক্ষকদের পদকে ২য় শ্রেণিতে উন্নীত করণ সহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে।

১৭। প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষা উপকরন ক্রয়ঃ প্রত্যেকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পাঠদান আকর্ষনীয় করার জন্য প্রতি দুই বছর অমত্মর অমত্মর ৫০০০/= টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয় ফলে প্রাথমিক শিক্ষার গুনগত মান উত্তর উত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

১৮। স্টুডেন্ট কাউন্সিল গঠনঃ প্রতিটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে স্টুডেন্ট কাউন্সিল গঠন করা হয়। এত করে শিক্ষার্থীদের মাঝে গণতন্ত্রেও চর্চা গড়ে উঠে।

১৯। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধঃ বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ এ প্রধান শিক্ষকদের সমন্বয় সভা, মা সমাবেশে, উঠান বেঠক ও দৈনিক সমাবেশে গণ সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।